পুরনো ড্রাগন ফল গাছের যত্ন Can Be Fun For Anyone

ক. কোকোডাস্ট বা নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া - ২৫%

আমাদের দেশে এমন অনেক ব্যবসায়ী ভাইরা আছেন যারা তাদের বাড়ির সামনে/ বাডির ছাদের অল্প ফাঁকা অংশটুকু কাজে লাগিয়ে সুন্দর বাগান তৈরি করেন।

মাটি তৈরি: ড্রাম বা টবের ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ৪০-৫০ গ্রাম টিএসপি সার এবং ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার মিশিয়ে টব বা ড্রাম এমনভাবে ভর্তি করতে হবে যেন উপরে পানি দেওয়ার জন্য একটু খালি থাকে। এরপর মাটির সাথে অন্যান্য উপাদান ভালোভাবে মেশানোর জন্য পানি দিয়ে ১০-১২ দিন রেখে দিতে হবে।

ফল সংগ্রহ: ড্রাগন ফলের কাটিং বা চারা রোপণের এক থেকে দেড় বছর বয়সেই এর ফল সংগ্রহ করা যায়। গাছে ফুল ফোটার ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে ফল পরিপক্ক হয়। তখন ফল সংগ্রহ করে খাওয়া যায়। প্রতি কেজি ফল বাজারে ৩০০-৪০০ টাকা ধরে বিক্রি হয়। একবার গাছ লাগালে প্রায় ২০ বছর এর ফল পাওয়া যায়।

মিরসরাইয়ে ৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে ডাল চাষ

কখনোই এর বৃদ্ধির সময় ব্যতীত কোন রাসায়নিক সার প্রয়োগ করবেন না এতে করে বিপদ হতে পারে। যেমন গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সঠিক পরিমাণে ও সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ করতে হবে।

আপনাদের যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে আমাকে জানাতে জানাবেন। সেগুলোর সমাধান করাবার আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আপনার মূল্যবান রেটিং দিয়ে উৎসাহিত করুন, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, সবাই খুব ভালো থেকো নমস্কার।

ড্রাগন ফল ছাদে এবং জমিতে উভয় জায়গাতেই চাষ করতে পারবেন। প্রায় বাংলাদেশের সকল মাটিই ড্রাগন চাষের উপযোগী। কিন্তু জৈবসারযুক্ত বেলে দোআঁশ মাটি ড্রাগন চাষের সবচেয়ে উত্তম মাটি। সাধারণত ড্রাগন চাষের জন্য কাটিং লাগাতে হয় এবং তা নিয়মিত পরিচর্চার মাধ্যমে বড় করতে হয়। ছাদে লাগাতে চাইলে বড় ড্রাম কিংবা টবে লাগাতে হবে।

আগাছা দমনের কার্যকরী সমাধান মালচিং পেপার

জাতের মধ্যে রয়েছে ‘আইসবার্গ,’ ‘ইউরোপিয়ানা,’ এবং ‘সানস্প্রাইট।’

গরমের সময়ে গাছের গোড়ায় জল দেবেন সকাল ৮ টার মধ্য এবং সন্ধায় সূর্য অস্ত যাবার পরে।

ছাদ বাগানের জন্য এমন গাছ নির্বাচন করতে হবে যার here জাত খর্বাকার, মূলের গভীরতা কম এবং সারা বছর ফল দেয়। ছাদ বাগানের জন্য উপযোগী ফলের জাত হচ্ছে, বারি আম-৩ (আম্রপালি), বাউ আম-২ (সিন্দুরী), থাই কাঁচা মিঠা, ব্যানানা ম্যাঙ্গো, বারি আম-১১, কাটিমন, সূর্য ডিম, পুনাই, বারি পেয়ারা-২, ইপসা পেয়ারা-১, থাই পেয়ারা, বাউ কুল-১, ইপসা কুল-১ (আপেল কুল), থাই কুল-২, বারি লেবু-২, বারি লেবু-৩, বাউ কাগজি লেবু-১। বারি আমড়া-১, বাউ আমড়া-১, থাই আমড়া,  থাই মিষ্টি করমচা। গনেশ, পাকিস্তানি  ড্রাগন ফল, বারি কমলা-১, বারি মাল্টা ১, বারি মাল্টা-৪। বাউ জামরুল-১ (নাসপাতি জামরুল), বাউ জামরুল-২ (আপেল জামরুল) ইত্যাদি। নানা ধরনের শাকসবজি লাগানো যায়। যেমন- লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, ডাঁটাশাক, কলমীশাক, পুইঁশাক, চুকুর, ক্যাপসিকাম, লেটুস, বেগুন,টমেটো, ঢেড়স, শিম, বরবটি, করলা, লাউ, ধুন্দল ইত্যাদি। সৌন্দর্য্য ও মনের প্রশান্তির জন্য বিভিন্ন ফুল যেমনÑ গাধা, গোলাপ, বেলী, টগর, জুঁই, গন্ধরাজ, জবা, টিকোমা, জারবেরা, শিউলি, এলামন্ডা ইত্যাদি। মসলা ও ঔষধিগুণসম্পন্ন মরিচ, ধনেপাতা, বিলাতি ধনিয়া, পুদিনা, কারিপাতা, পেঁয়াজ, রসুন, অ্যালোভেরা, তুলসী, থানকুনি, ইত্যাদি লাগানো যেতে পারে।

শিকড় পচা রোগ হলে আক্রান্ত গাছ তুলে বাকি গাছে ও মাটিতে ভালো করে কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। শিমের গোড়া ও শিকড় পচা রোগ সাধারণত বর্ষার শুরুতে বা অতি বর্ষণের ফলে গোড়ায় পানি জমলে হয়। তবে মাঝে মাঝে আবহাওয়ার আর্দ্রতা বেড়ে গেলে ও উচ্চ তাপমাত্রায় গোড়া পচা রোগের প্রকোপ দেখা দেয়।

বক্স তৈরি করা : বেশির ভাগ ছাদ বাগানি ছাদের কিনারগুলো ২-৩ ফুট চওড়া ও ২-৩ ফুট উঁচু করে বক্স তৈরি করে নিয়ে সেগুলো পটিং মিডিয়া দিয়ে ভরাট করে তাতে গাছ রোপণ করে থাকে। অনেকে নিচে ৮-১২ ইঞ্চি ফাঁক রেখে ঢালাই করে নিয়ে মজবুত করে এ বক্স বানিয়ে নেয়। কেউবা বক্সের নিচের অংশ ২-৩ ইঞ্চি উঁচু করে এ অংশ ঢালাই করে তার ওপর সরাসরি ইটের পাতলা গাঁথনি দিয়ে কম খরচে অনুরূপ লম্বা বক্স বানিয়ে নেয়। বিকল্প ব্যবস্থায় টিনের/প্লাস্টিকের স্টাকচার তৈরি করে অথবা জাহাজ ভাঙা বাথটবের আকারের পাত্র সংগ্রহ করে তা বক্স/টবের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *